উর্দ্ধতন নির্বাহী কর্মকর্তা (বাংলাদেশ ফার্টিলাইাজার এসোসিয়েশন), নির্বাহী সম্পাদক (মাসিক উর্বরা) এবং কমিউনিটি এক্সপার্ট (প্লান্টিক্স)।

রোগ প্রতিরোধে শীতকালীন শাক-সব্জীর গুরুত্ব

শাকসবজি আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যের একটি অন্যতম প্রধান অংশ। আহারে বৈচিত্র্য আনা ছাড়াও শাক-সবজি পুষ্টির দিক দিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তার মধ্যে লালশাক, পালং শাক, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো,বেগুন ও গাঁজর অন্যতম। ভিটামিনের প্রাচুর্যতা থাকায় শাক-সবজি দেহের স্বাভাবিক পুষ্টির কাজ স¤ন্ন করে। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে অপুষ্টির হাত হতে রক্ষা করে। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, একজন পূর্ণবয়স্ক লোকের…

আমলকি চাষ পদ্ধতি

ইংরেজী নামঃ Aonlaবৈজ্ঞানিক নামঃ Phyllanthus emblicaপরিবারঃ Euphorbiaceae পরিচিতিঃ মধ্যম থেকে বৃহৎ আকৃতির বৃক্ষ, উচ্চতায় ২০ মিটারের অধিক হয়ে থাকে। পাতা পক্ষল, যৌগিক, বোটার দুইপাশে চিরুনির দাঁতের মত সাজানো থাকে। শীতকালে পাতা ঝরে। ফুল ক্ষুদ্রাকার, সহবাসী অর্থাৎ স্ত্রী ও পুরুষ ফুল একই গাছে আলাদাভাবে উৎপন্ন হয়। ফল গোলাকৃতি, মাংসল ও রসালো এবং ভিতরে বড় আটি থাকে। পুষ্টিগুণঃ প্রচুর ভিটামিন-সি…

আম চাষ পদ্ধতি

ইংরেজী নামঃ Mangoবৈজ্ঞানিক নামঃ Mangifera indicaপরিবারঃ Anacardiaceae পরিচিতিঃ আম চির সবুজ বৃক্ষ। এ গাছের প্রধান কান্ডটি সরল এবং প্রকান্ড হয়ে থাকে। এর উপরই শাখা প্রশাখা জন্মে ক্রমে ছাতার রূপ নেয়। আম গাছ জাত বিশেষে ৭.৫-৩০.০ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। এর বিস্তার ৬-১৮ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। পাতা দীর্ঘ, বর্শাকৃতি ও মসৃণ। পাতাগুলো প্রশাখার গায়ে সর্পিলাকারে বা স্পাইরালী বিন্যস্ত থাকে।…

ইপিল-ইপিলের অনিষ্টকারী পোকা-মাকড় ও দমন ব্যবস্থা

পোকার নামঃ সাইলিড পোকা ক্ষতির ধরনঃ১) কচি পাতা, কান্ড, কুঁড়ি ইত্যাদি থেকে রস শুষে নেয়, এতে পাতা এবং কচি অংশসমূহ হলুদ হয়ে কুঁকড়ে যায় এবং শুকিয়ে যায়। ফলে গাছ দুর্বল হয়ে যায় এবং এক সময় মারা যায়।২) এ পোকা এক ধরনের মিষ্টি পদার্থ নি:সৃত করে যার ফলে ছত্রাকের আক্রমনও ঘটে। প্রতিকারঃ১) সাইলিড প্রতিরোধক জাত রোপণ…

ইপিল-ইপিল চাষ পদ্ধতি

ইংরেজী নামঃ Leucaenaবৈজ্ঞানিক নামঃ Leucaena leucocephalaপরিবারঃ Leguminosae পরিচিতিঃ ছোট থেকে মধ্যম আকারের চিরহরিৎ গভীরমূলী বৃক্ষ, উচ্চতা ৩-১৫ মিটার হয়ে থাকে। কচি শাখা মসৃণ, ধূসর-বাদামী কিন্তু বয়স্ক শাখা অমসৃণ এবং গাঢ় ধূসর-বাদামী বর্ণের। ফুল সাদা অথবা ফিকে হলুদ। ফল পড, ১১-১৯ সে.মি. লম্বা, বাদামী বর্ণের, চ্যাপ্টা, পাতলা এবং এতে ৮-১৮ টি বীজ থাকে। বীজ শক্ত এবং…

কাঁটানটে চাষ পদ্ধতি

ইংরেজী নামঃ Spiny Amaranthবৈজ্ঞানিক নামঃ Amaranthus spinosusপরিবারঃ Amaranthaceae পরিচিতিঃ কাঁটানটে বর্ষজীবি সূক্ষ্ম লোমযুক্ত গুল্মশ্রেনীয় উদ্ভিদ। সাধারণভাবে এর কান্ড এক থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে দেখা যায়। কান্ড শক্ত গাঁটযুক্ত এবং কাঁটায় ভরা থাকে। গাছের পুষ্টদন্ড লম্বা হয়। পাতার আকৃতি অনেকটা ছোট। পাতার আগার দিকটা ক্রমশ: সরু। ফুলের রং ফিকে সবুজ, গুচ্ছবদ্ধ অবস্থায় থাকে। বীজের রং…

বসতবাড়ীর কৃষিবনায়ন

বসতবাড়ীর পরিকল্পিত কৃষিবনায়নঃ খাদ্য নিরাপত্তা রক্ষার এক শক্তিশালী হাতিয়ার

কৃষিবনায়ন কি?কৃষিবনায়ন হচ্ছে এমন একটি সাসটেইনেবল ভূমি ব্যাবস্থাপনা যা ভূমির সার্বিক উৎপাদন বৃদ্ধি করে; যুগপৎ বা পর্যায়ক্রমিকভাবে কৃষিজাত ফসল, বৃক্ষজাত ফসল ও বনজ উদ্ভিদ এবং/অথবা পশুপাখীকে একত্রিত/সমন্বিত করে এবং সেই সব পরিচর্যা পদ্ধতি অবলম্বন করে যা ঐ নির্দিষ্ট এলাকার জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতির ধ্যান-ধারণার সাথে সংগতিপূর্ণ (Bene et al. ১৯৭৭)। আবার Nair (১৯৭৯) এর মতে কৃষিবনায়ন হচ্ছে…

উলটকম্বল

উলটকম্বল চাষ পদ্ধতি

ইংরেজী নামঃ Devil’s Cottonবৈজ্ঞানিক নামঃ Abroma augustaপরিবারঃ Sterculiaceae পরিচিতিঃ গুল্ম বা ছোট আকারের বৃক্ষ যা সাধারনত: ৮/১০ ফুটের বেশি উঁচু হয় না। ফুলের রং লাল কালো মিশানো। বীজ কাঁচা অবস্থায় সবুজ এবং পাকলে ধূসর অথবা বাদামী রং এর হয়। বীজ কোষটি একটি উল্টানো বাটির মত, বীজগুলি লোমাবৃত থাকে যা গায়ে লাগলে চুলকায়। গাছের ছাল আঁশযুক্ত ও বাদামী বা মেটে…

আগর চাষ পদ্ধতি

ইংরেজী নামঃ Aggorবৈজ্ঞানিক নামঃ Aquillaria agallochaপরিবারঃ Thymelaeaceae পরিচিতিঃ আগর একটি মাঝারি আকৃতির চিরসবুজ বৃক্ষ। উচ্চতায় এটি ৬০-৮০ ফুটের মত হয়ে থাকে। ঔষধি ব্যবহারঃ১) কান্ডের ক্বাথ জ্বরনাশক, পাকস্থলীর কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিকারক, মূত্রবর্ধক, কামোদ্দীপক, বায়ুরোগ এবং রেচক ঔষধ তৈরীতে ব্যবহৃত হয়।২) বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ, ব্রংকাইটিস, এজমা ও বাত নিরাময়ের ক্ষেত্রেও এটি বেশ কার্যকরী। জমি নির্বাচনঃ পাহাড়ী ঢালু অঞ্চলের কংকরময় মাটিতে…

মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় জৈব সারের গুরুত্ব ও ব্যবহারিক উপকারিতা

জীবদেহ থেকে প্রাপ্ত সারকে জৈব সার বলা হয়। অর্থাৎ বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণীর পঁচনশীল অংশ পচে যে সার তৈরি হয়, তা-ই হলো জৈব সার। যেমন- গোবর, মুরগীর বিষ্ঠা, কম্পোস্ট, খামারজাত সার, সবুজ সার (ধৈঞ্চা), হাড়ের গুড়া, মাছের গুড়া ইত্যাদি। মাটির স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত জৈব সার প্রয়োগ। নিম্নে জৈব সারের উপকারী দিকগলো তুলে ধরা…