ইংরেজী নামঃ Aggor
বৈজ্ঞানিক নামঃ Aquillaria agallocha
পরিবারঃ Thymelaeaceae
পরিচিতিঃ আগর একটি মাঝারি আকৃতির চিরসবুজ বৃক্ষ। উচ্চতায় এটি ৬০-৮০ ফুটের মত হয়ে থাকে।
ঔষধি ব্যবহারঃ
১) কান্ডের ক্বাথ জ্বরনাশক, পাকস্থলীর কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিকারক, মূত্রবর্ধক, কামোদ্দীপক, বায়ুরোগ এবং রেচক ঔষধ তৈরীতে ব্যবহৃত হয়।
২) বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ, ব্রংকাইটিস, এজমা ও বাত নিরাময়ের ক্ষেত্রেও এটি বেশ কার্যকরী।
জমি নির্বাচনঃ পাহাড়ী ঢালু অঞ্চলের কংকরময় মাটিতে এটি ভাল জন্মে।
জমি তৈরিঃ জমি ভালভাবে চাষ দিয়ে আগাছামুক্ত করে নিতে হবে।
বংশ বৃদ্ধিঃ বীজের মাধ্যমে বংশবিস্তার করে।
বীজ বপণ/চারা রোপণঃ বীজতলায় মাটি ও জৈব সার (৩ঃ১) মিশ্রিত করে বীজ বপণ করতে হবে। বীজ বপনের পরপরই পানি দিতে হবে। অংকুরিত চারার বয়স ১-২ বৎসর হলে তা রোপণ করতে হয়। চারা রোপণের পূর্বে গর্তের মাটির সাথে জৈব সার ৩ঃ১ অনুপাতে মিশাতে হবে।
পরিচর্যাঃ
১) নিয়মিত আগাছা পরিস্কার করতে হবে।
২) মরা, শুকনো ডালপালা ছেটে দিতে হবে।
৩) শুস্ক মৌসুমে পানি সেচের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪) আগর গাছে সার না দিলেও চলে। তবে প্রতি বছর ৪০ কেজি জৈব সার দুই কিস্তিতে- ১ম কিস্তিতে মধ্য ফাল্গুন-মধ্য বৈশাখ (মার্চ-এপ্রিল) মাসে এবং দ্বিতীয় কিস্তিতে মধ্য আশ্বিন-মধ্য অগ্রহায়ন (অক্টোবর-নভেম্বর) মাসে প্রয়োগ করলে ভাল হয়। গাছের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে জৈব সারের পরিমাণ ১০% বৃদ্ধি করতে হবে।
ফুল আসার সময়ঃ জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় (মধ্য মে-মধ্য জুলাই)।
ফল ধরার সময়ঃ শ্রাবণ-ভাদ্র (মধ্য জুলাই-মধ্য সেপ্টেম্বর)।