ইংরেজী নামঃ Spiny Amaranth
বৈজ্ঞানিক নামঃ Amaranthus spinosus
পরিবারঃ Amaranthaceae
পরিচিতিঃ কাঁটানটে বর্ষজীবি সূক্ষ্ম লোমযুক্ত গুল্মশ্রেনীয় উদ্ভিদ। সাধারণভাবে এর কান্ড এক থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে দেখা যায়। কান্ড শক্ত গাঁটযুক্ত এবং কাঁটায় ভরা থাকে। গাছের পুষ্টদন্ড লম্বা হয়। পাতার আকৃতি অনেকটা ছোট। পাতার আগার দিকটা ক্রমশ: সরু। ফুলের রং ফিকে সবুজ, গুচ্ছবদ্ধ অবস্থায় থাকে। বীজের রং কালো তবে রং উজ্জ্বল হয়।
ঔষধি ব্যবহারঃ
১) কাঁটানটের পাতা, কান্ড ও মূল ভালভাবে শুকিয়ে তাকে আগুনে পুড়িয়ে সে ছাই নারকেল তেলের সঙ্গ মিশিয়ে খোস-পাঁচড়ায় প্রয়োগ করলে ভাল হয়।
২) কাঁটানটে গাছের কচি ডাল ও পাতা বেটে ফোঁড়ায় দিনে একবার করে প্রলেপ দিলে মাত্র দু-তিন দিনের মধ্যেই ফোড়া পেকে যাবে।
৩) আট গ্রাম কাঁটানটের মূল এবং এক গ্রাম গোলমরিচ, এ দুটুকে সামান্য পানি দিয়ে বেটে কপালে দিলে মাথা ধরা সেরে যাবে।
৪) এর শেকড়, মূল, কচি পাতা ও ডাল সব ধরনের রক্তপাতে বিশেষ উপকারী।
জমি নির্বাচনঃ সব ধরনের মাটিতেই জন্মাতে পারে।
জমি তৈরিঃ জমি ভালভাবে চাষ দিয়ে আগাছামুক্ত করে নিতে হবে। বীজ বপণ বা চারা রোপণের পূর্বে বীজতলার মাটি বা গর্তের মাটির সাথে জৈব সার ৩ঃ১ অনুপাতে মিশাতে হবে।
বংশ বৃদ্ধিঃ বীজ এবং কাটিং দ্বারা বংশবিস্তার করে।
বীজ বপণ/চারা রোপণঃ বীজতলায় মাটি ও জৈব সার (৩ঃ১) মিশ্রিত করে বীজ বপণ করতে হবে। বীজ বপনের পরপরই পানি দিতে হবে। অংকুরিত চারার বয়স ১-২ বৎসর হলে তা রোপণ করতে হয়।
পরিচর্যাঃ
১) নিয়মিত আগাছা পরিস্কার করতে হবে।
২) শুস্ক মৌসুমে পানি সেচের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩) গাছে সার না দিলেও চলে। তবে প্রতি বছর ১০ কেজি জৈব সার দুই কিস্তিতে- ১ম কিস্তিতে মধ্য ফাল্গুন-মধ্য বৈশাখ (মার্চ-এপ্রিল) মাসে এবং দ্বিতীয় কিস্তিতে মধ্য আশ্বিন-মধ্য অগ্রহায়ন (অক্টোবর-নভেম্বর) মাসে প্রয়োগ করলে ভাল হয়।
ফুল আসার সময়ঃ বর্ষার শেষে।
ফল ধরার সময়ঃ আশ্বিন।