ইংরেজী নামঃ Devil’s Cotton
বৈজ্ঞানিক নামঃ Abroma augusta
পরিবারঃ Sterculiaceae
পরিচিতিঃ গুল্ম বা ছোট আকারের বৃক্ষ যা সাধারনত: ৮/১০ ফুটের বেশি উঁচু হয় না। ফুলের রং লাল কালো মিশানো। বীজ কাঁচা অবস্থায় সবুজ এবং পাকলে ধূসর অথবা বাদামী রং এর হয়। বীজ কোষটি একটি উল্টানো বাটির মত, বীজগুলি লোমাবৃত থাকে যা গায়ে লাগলে চুলকায়। গাছের ছাল আঁশযুক্ত ও বাদামী বা মেটে রং এর হয়।
ঔষধি ব্যবহারঃ
১) মূলের চূর্ণের সাথে গোল মরিচের গুড়ো মিশিয়ে খেলে বার্ধক্যজনিত রোগ নিরাময় হয়।
২) বমনকালে বুক ধরফড়ানী রোগে মূলের ছাল ব্যবহার হয়।
৩) মূলের রস গনোরিয়া ও ফোঁড়ার ক্ষেত্রে বিশেষ কার্যকরী। এছাড়া ঋতুস্রাব বন্ধে ও বমনকালের যন্ত্রনা নিরাময়ে মূলের ছালের নির্যাস ব্যবহৃত হয়।
৪) পশুপাখীর ক্ষেত্রেঃ গরুর পাতলা পায়খানা হলে পাতা অন্যান্য উপাদানের সাথে পিষিয়ে বড়ি তৈরি করে খাওয়ানো হয়।
জমি নির্বাচনঃ সব মাটিতে কম বেশি জন্মে। তবে বেলে দো-আঁশ মাটিই চাষের জন্য উত্তম।
জমি তৈরিঃ জমি ভালভাবে চাষ দিয়ে আগাছামুক্ত করে নিতে হবে। চারা রোপণের পূর্বে বীজতলার মাটি বা গর্তের মাটির সাথে জৈব সার ৩ঃ১ অনুপাতে মিশাতে হবে।
বংশ বৃদ্ধিঃ বীজ এবং কান্ড ও শিকড়ের কাটিং।
বীজ বপণ/চারা রোপণঃ আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে বীজ সংগ্রহ করে কিছু দিন রোদে শুকিয়ে এক হতে দু’মাসের মধ্যে বীজ তলায় লাগাতে হয়। বীজ তলার জন্য মাটি, গোবর ও ভিজা কাঠের ভূষি (২ঃ১ঃ১) মেশানো হয়। বীজ লাগানোর পূর্বে দু’ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে নিলে বেশি পরিমাণ (৬৫%) বীজ অংকুরিত হয়।
পরিচর্যাঃ
১) নিয়মিত আগাছা পরিস্কার করতে হবে।
২) মরা, শুকনো ডালপালা ছেটে দিতে হবে।
৩) শুস্ক মৌসুমে পানি সেচের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪) গাছে সার না দিলেও চলে। তবে প্রতি বছর ২০ কেজি জৈব সার দুই কিস্তিতে- ১ম কিস্তিতে মধ্য ফাল্গুন-মধ্য বৈশাখ (মার্চ-এপ্রিল) মাসে এবং দ্বিতীয় কিস্তিতে মধ্য আশ্বিন-মধ্য অগ্রহায়ন (অক্টোবর-নভেম্বর) মাসে প্রয়োগ করলে ভাল হয়। গাছের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে জৈব সারের পরিমাণ ১০% বৃদ্ধি করতে হবে।
ফুল আসার সময়ঃ জ্যৈষ্ঠ-ভাদ্র (মধ্য মে-মধ্য সেপ্টেম্বর)।
ফল ধরার সময়ঃ শ্রাবণ-পৌষ (মধ্য জুলাই-মধ্য জানুয়ারি)।