ইংরেজী নামঃ Ashok
বৈজ্ঞানিক নামঃ Saraca asoca
পরিবারঃ Caesalpiniaceae
পরিচিতিঃ অশোক মাঝারি আকৃতির চিরসবুজ বৃক্ষ। এর ডালপালা বিস্তৃত এবং কিছুটা নুঁয়ে পড়া স্বভাবের। পাতা যৌগিক, একান্তর এবং গাঢ় সবুজ বর্ণের তবে কচি পাতা পিংক রংয়ের। ফুল কমলা লাল রংয়ের এবং থোকায় থোকায় থাকে। দেশের সর্বত্র এ গাছটি জন্মে।
ঔষধি ব্যবহারঃ
১) অশোক ছালের নির্যাস আমাশয়, পাইলস, ডিসপেপসিয়া এবং ক্ষত স্থান নিরাময়ের জন্য বেশ উপকারী।
২) অনিয়মিত রক্তস্রাব বন্ধের জন্যে এই গাছের শিকড়ের ছাল খুবই কার্যকরী।
৩) এ গাছের শুস্ক ফুল সিফিলিস, ডায়বেটিস ও রক্ত আমাশয় নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়।
৪) এছাড়া এর বীজ প্রসাবের ব্যাধিতেও উপকারী।
জমি নির্বাচনঃ প্রায় সব ধরনের মাটিতে জন্মে।
জমি তৈরিঃ জমি ভালভাবে চাষ দিয়ে আগাছামুক্ত করে নিতে হবে। বীজ বপণ বা চারা রোপণের পূর্বে বীজতলার মাটি বা গর্তের মাটির সাথে জৈব সার ৩ঃ১ অনুপাতে মিশাতে হবে।
বংশ বৃদ্ধিঃ বীজের মাধ্যমে বংশ বৃদ্ধি করে।
বীজ বপণ/চারা রোপণঃ একটি ফলে ২-৮ টি বীজ থাকে। ফল থেকে বীজ সংগ্রহের পর তা রৌদ্রে শুকিয়ে বীজ তলায় বা পলিব্যাগে লাগানো উত্তম। কারণ এর বীজ বেশী দিন সংরক্ষণ করা যায় না। বীজ বপণের পূর্বে ২৪ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। ৪-৬ সপ্তাহের মধ্যে বীজের অংকুরোদগম হয় এবং এর হার ৮০-৯০ শতাংশ। সাধারনত: একটি বীজ থেকে ২-৩ টি চারা বের হয়। অংকুরিত চারার বয়স ১-২ বৎসর হলে তা রোপণ করতে হয়।
পরিচর্যাঃ
১) মরা, শুকনো ডালপালা ছেঁটে দিতে হবে।
২) শুস্ক মৌসুমে পানি সেচের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩) অশোক গাছে সার না দিলেও চলে। তবে প্রতি বছর ৩০-৪০ কেজি জৈব সার দুই কিস্তিতেঃ ১ম কিস্তি মধ্য ফাল্গুন-মধ্য বৈশাখ (মার্চ-এপ্রিল) মাসে এবং ২য় কিস্তি মধ্য আশ্বিন-মধ্য অগ্রহায়ন (অক্টোবর-নভেম্বর) মাসে প্রয়োগ করলে ভাল হয়। গাছের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে জৈব সারের পরিমাণ ১০% বৃদ্ধি করতে হবে।
ফুল আসার সময়ঃ ফাল্গুন-চৈত্র (মধ্য ফেব্রুয়ারি-মধ্য এপ্রিল)।
ফল ধরার সময়ঃ মধ্য জ্যৈষ্ঠ-মধ্য শ্রাবণ (জুন-জুলাই)।