ইংরেজী নামঃ Butterfly Pea
বৈজ্ঞানিক নামঃ Clitoria ternatea
পরিবারঃ Papilionaceae
পরিচিতিঃ অপরাজিতা বহুবর্ষজীবি লতাজাতীয় উদ্ভিদ। ২০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। সারা বছরই ফুল ফোটে। প্রতিটি পাতায় দুই বা তিন জোড়া গোলাকার পত্রক থাকে। গাঢ় নীল, ফিকে নীল, সাদা, বেগুনী প্রভৃতি নানা ধরনের অপরাজিতা রয়েছে। এছাড়াও একক ফুল এবং জোড়া ফুলও দেখতে পাওয়া যায়। ফুল অনেকটা বক ফুলের মত দেখায়। ফুলে কোন গন্ধ নেই।
ঔষধি ব্যবহারঃ
১) চক্ষুরোগে ঠান্ডা লেগে চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকলে কিংবা চোখে জ্বালা-যন্ত্রণা করলে, নীল অপরাজিতার পাতা বেটে কপালে প্রলেপ দিলে সুফল পাওয়া যায়।
২) যে কোন ধরনের বাতে ৫০০ মিলিগ্রাম নীল অপরাজিতার শিকড় পানি দিয়ে বেটে সকালে একবার খেলে সুফল পাওয়া যায়।
৩) কোষ্ঠকাঠিন্যে শ্বেত অথবা নীল অপরাজিতার বীচি গুঁড়ো করে ২ গ্রাম পরিমাণ নিয়ে তাতে সামান্য শুকনো চুন মিশিয়ে গরম দুধ বা পানি দিয়ে খেতে হবে। রাতে খাবার পর ঘুমানোর আগে খাওয়া দরকার।
৪) অপরাজিতার মূলের ছাল পানিতে সেদ্ধ করে দু’চামচ খেলে পরিমাণ মত প্রসাব হবে।
সতর্কতাঃ
১) এ গাছের মূল এবং বীচি বেশি পরিমাণে খেলে শরীরে বিষের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। কাজেই এর পরিমাণ খুবই সাবধানে প্রয়োগ করা উচিত।
২) নীল ও সাদা অপরাজিতা একই শ্রেনীর গাছ হলেও নীল অপরাজিতায় উপকারীতা বেশি।
জমি নির্বাচনঃ সব ধরনের মাটিতেই জন্মাতে পারে।
জমি তৈরিঃ জমি ভালভাবে চাষ দিয়ে আগাছামুক্ত করে নিতে হবে। চারা রোপণের পূর্বে বীজতলার মাটি বা গর্তের মাটির সাথে জৈব সার ৩ঃ১ অনুপাতে মিশাতে হবে।
পরিচর্যাঃ
১) আগাছা পরিস্কার করতে হবে।
২) শুস্ক মৌসুমে পানি সেচের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩) গাছে সার না দিলেও চলে। তবে প্রতি বছর ১০-১৫ কেজি জৈব সার দুই কিস্তিতে – ১ম কিস্তি মধ্য ফাল্গুন-মধ্য বৈশাখ (মার্চ-এপ্রিল) মাসে এবং দ্বিতীয় কিস্তি মধ্য আশ্বিন-মধ্য অগ্রহায়ন (অক্টোবর-নভেম্বর) মাসে প্রয়োগ করলে ভাল হয়। গাছের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে জৈব সারের পরিমাণ ১০% বৃদ্ধি করতে হবে।
ফুল আসার সময়ঃ আষাঢ়-শ্রাবন।
ফল ধরার সময়ঃ পৌষ-মাঘ।